#হোস্টেলে ভাত বন্ধ হওয়ায় স্থায়ী সুরাহা না হওয়ায় অনবরত বিক্ষোভে বিশাবিদ্যালের ছাত্র ছাত্রীরা।
কাটলো না অচলাবস্থা। ভাতের দাবীতে আন্দোলন উত্তর বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে খাদের দাবিতে নিরাপত্তা বিভাগের সামনে আজকেও আন্দোলন করা হচ্ছে।উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে সৃষ্ট জটিলতা এবং অচলাবস্থার প্রতিবাদে আন্দোলন আজ দ্বিতীয় দিন। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নেই। রেজিস্ট্রার নেই দীর্ঘদিন ধরে। যে ফিন্যান্স অফিসার ছিলেন সেও গতমাসে অবসর নিয়েছেন। পডু়য়াদের অভিযোগ, এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন অবস্থা যে সামান্য চাল কেনার টাকাও নেই।
জানা গেছে, উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, ফিন্যান্স অফিসারহীন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাঠামো ভেঙে পড়ায় আর্থিক অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। তহবিলে টাকা থাকলেও তা খরচ করার অনুমোদন দেওয়া যাচ্ছে না। আর্থিক লেনদেন স্তব্ধ হয়ে যায়। এরই জেরে বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে প্রতিবাদে সামিল হল হোস্টেলের আবাসিক পড়ুয়ারা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে বিক্ষোভ। এদিন ছাত্রদের sathe ছাত্রীরাও সামিল হয় আন্দোলনে।
জানা গেছে, ক্ষুব্ধ ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন বন্ধ করে দেন। আধিকারিকদের বের করে বন্ধ করে দেওয়া হয় প্রশাসনিক ভবন। শুধু জরুরি পরিষেবা চালু রাখা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও একটি ছাত্রাবাস ও দু’টি ছাত্রী আবাস রয়েছে। সব মিলিয়ে হাজারখানেক ছেলেমেয়ে সেখানে পড়াশোনা করেন। রামকৃষ্ণ ছাত্রাবাস ছাড়া বাকি তিনটির বরাদ্দও শেষের পথে। অবিলম্বে কোনও ব্যবস্থা না হলে সেখানেও অচলাবস্থা তৈরি হতে চলেছে। অস্থায়ী কর্মচারীদের বেতন নিয়ে একই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।
হস্টেলে খাবার বন্ধের প্রতিবাদে সরব হলেন আবাসিকরা। বুধবার সকালে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা বিভাগের সামনে হাতে প্লেকার্ড নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন হস্টেলের আবাসিকরা। অন্দনকারিরা জানান এর দ্রুত সমস্যা না-মিটলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত কাজকর্ম বন্ধ করে দেওয়া হবে। এদিকে বিশ্ব বিদ্যালয়ের কতৃপক্ষ জানান আগামীকাল এক বৈঠক করা হবে এবং খুব সিগ্রহি এই সমস্যার সমাধান করাহবে ।